বাংলাদেশে ঢুকে সাতক্ষীরা উপকূল পার হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’

শেষমেশ বাংলাদেশে ঢুকেই গেল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। তবে বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগেই অনেকটা শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর রাত সোয়া তিনটার দিকে ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম করছিল বলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানিয়েছেন। ওই এলাকায় এখন বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হালকা দমকা হাওয়া।

এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপ ও বকখালি হয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে ওই ঘূর্ণিঝড়। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার থেকে ১২৫ কিলোমিটার। এরপর সুন্দরবন বদ্বীপ অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যায় বুলবুল।

প্রায় তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে ঝড়টি পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসে। এর একপর্যায়ে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। তবে স্থলভাগে ঢোকার পর অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় থেকে শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে আকার নেয় বুলবুল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার উপকূলকে ৪ (চার) নম্বর (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!