বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এডভোকেট এস এম তোফাইল বিন হোছাইন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪৫ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল ইসলাম হোছাইনী মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬৫ ভোট।
যদিও নির্বাচনে কারচুপি আর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি ভোট বর্জন করেন।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে ১১টি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ নিয়ে তিনস্তরের আইন শৃংখলা বাহিনী এবং ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।
ভোট চলাকালীন দুপুর ১২টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোসাইনি ১১টি ভোট কেন্দ্রে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।
বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগেরও সত্যতা ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা কোন ধরণের প্রমাণ পাননি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ১১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোন ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে রোজি আক্তার, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে রোজিনা সুলতানা রুজি, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ছাদেকা নুর খানম বিউটি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে আনসুর আলী, ২নং ওয়ার্ডে কাঞ্চন বড়ুয়া, ৩নং ওয়ার্ডে জামশেদ আলম, ৪নং ওয়ার্ডে মো. আরিফ মাঈন উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ডে মো. ইসহাক, ৬নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডে আব্দুল গফুর, ৮নং ওয়ার্ডে প্রণব দাশ ও ৯ নং ওয়ার্ডে বদিউল আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এসি