চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর সাধনপুরে ১১ জন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি)। এতে উপস্থিত না হওয়ায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া ডাক্তার এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৪ সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘মামলার চার্জশিট অনুযায়ী মোট সাক্ষী ৫৭ জন হলেও মাত্র ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষীদের হাজির করার জন্য চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।’
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের ঘরে তালা লাগিয়ে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দেওয়া হয়। এতে নারী-শিশুসহ ১১ জন পুড়ে মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল শীল (৬০), ছেলে অনিল শীল (৪০), অনিলের স্ত্রী স্মৃতি শীল (৩২), অনিলের তিন সন্তান রুমি শীল (১২), সোনিয়া শীল (৭) ও চারদিন বয়সী কার্তিক শীল; তেজেন্দ্র শীলের ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদি শীল (১৭), অ্যানি শীল (৭) এবং কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা আত্মীয় দেবেন্দ্র শীল (৭২)।
পরে তেজেন্দ্র লাল শীলের ছেলে বেঁচে যাওয়া বিমল শীল বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন।
আরএম/ডিজে