বাঁশখালীর সাংসদ সেজে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বোকা বানালেন বোয়ালখালীর যুবক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আবু তৈয়ব (২৪) নামে এক তরুণ আটক হল চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে আটক ওই যুবককে রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তৈয়বের এক সহযোগী এহসানুল হক ওরফে হাসানকে (২৬) শ্যোন-অ্যারেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসান বর্তমানে মাদক মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

আটক তৈয়ব চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলীর উত্তর কনজুরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে। অন্যদিকে তৈয়বের সহযোগী এহসানুল হক ওরফে হাসান চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের আশাতা এলাকার জাফর আহমদের পুত্র।

পুলিশ জানায়, ২৫ জুলাই রাত ৯টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোবাইলে ফোন করেন তৈয়ব। নিজেকে তিনি চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান হিসেবে পরিচয় দিয়ে মন্ত্রীকে জানান, তার এক আত্মীয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ সময় মন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি। মন্ত্রী কথিত ওই রোগীকে সহযোগিতার জন্য সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে অনুরোধ জানান।

পুলিশ জানিয়েছে, আবু তৈয়বের নেতৃত্বাধীন একটি চক্র চিকিৎসায় অর্থের প্রয়োজন—এমন অজুহাত দেখিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা রোগীর খোঁজ নিতে ওসমানী হাসপাতালে গেলে আবু তৈয়বের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পান। এতে তাদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন, পুরো বিষয়টিই ভুয়া।

পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেক বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ওই প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!