করোনা ঝুঁকি চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোমেনা আক্তার।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্য ৬টা থেকে কার্যকর হয়ে তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। লকডাউনে নির্দেশনা অনুসারে যাবতীয় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। ভিন্ন উপজেলার লোকজনের আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সমূহ ও ব্যাংকিং লেনদেন চালু থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি, ওষুধ বহনকারী গাড়ি ও সেবামূলক গাড়ি চালু থাকবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ জন ডাক্তারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর বৈলছড়িতে তাদের আত্মীয় স্বজনের ৪টি বাড়ি এবং গত ৮ এপ্রিল চিকিৎসা করা তার দুই রোগীর বাড়িসহ মোট ৬টি বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে লকডাউন করা হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘লকডাউন আদেশ কেউ অমান্য করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। লকডাউন কার্যকর করতে আইন শৃংখলাবাহিনী মাঠে প্রস্তুত রয়েছে।’
বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী সর্বত্র বিচরণ করছে। লকডাউন অমান্যকারীদের কোন অজুহাত সহ্য করা হবে না। সবাইকে আন্তরিকভাবে যার যার অবস্থানে আন্তরিক হয়ে লকডাউন পালন করতে হবে।’
এর আগে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে উপজেলার ৩৬৯ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার সংবাদে প্রশাসন বিভিন্ন সময় তদারকিতে গিয়ে ৩ জনকে জরিমানাও করেছেন।
সিপি