চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এটি জায়গা-জমি সংক্রান্ত।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদি হলেন কালীপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক।
আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করতে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মোস্তাফিজ ও গফুর ছাড়া মামলায় অন্য ছয় আসামি হচ্ছেন—কালীপুরের মৃত আলী আহমদের ছেলে জমির উদ্দিন, মৃত আমিন শরীফের ছেলে নুরুল মোস্তফা, মৃত দুদু মিয়ার তিন ছেলে আবু সৈয়দ, আবু বক্কর, আবু সালেহ এবং আবু সৈয়দের ছেলে জয়নাল।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর এবং ২০২৪ সালের ২৫ জুলাই দু’বার আসামিরা বিভিন্নভাবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জঙ্গল কালীপুর মৌজার ২৫০ জায়গার ফলদ ও বনজ বাগান দখল করে রাখে। ওই বাগানের আম, লিচু, কাঁঠাল বিক্রি করে আসছিল এবং বাদির ছেলেদের আসামিরা হুমকি-ধমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করেছে। বাগানে আগুন লাগিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে এবং গাছ কেটে বিক্রয় করে দিয়েছে। থানা পুলিশকে এ ব্যাপারে মামলা দিতে গেলে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও আবদুল গফুর এতে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া বাদিকে জামায়াত-বিএনপি বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং বাদির ছেলেদের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করেছেন।
বাদির আইনজীবী তকসিমুল গণি ইমন বলেন, আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। মামলার এজাহার থানায় পৌঁছলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডিজে