বাঁশখালীতে মালিককে রশি দিয়ে বেঁধে রাতারাতি দোকান নির্মাণ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে জায়গার মালিককে রশি দিয়ে বেঁধে রাতের আঁধারে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সশস্ত্র ভূমিদস্যুরা দোকান নির্মাণের পর দোকানগুলোতে বিভিন্ন মালামাল ঢুকিয়ে ও ব্যানার টাঙিয়ে দিব্যি পুরাতন ব্যবসায়ীর মত সেজে বসেছে। টিন, গাছ, ত্রিপল দিয়ে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
জায়গার মালিক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার মালিকানাধীন ৫ শতক জায়গা দোকান নির্মাণের উদ্দেশ্যে আমি ভরাট করি। মূল্যবান জায়গা হওয়ায় এ সময় স্থানীয় শাহাদাত হোসেন, রবিউল হোসেন, আবু ছৈয়দ, রশিদ আহমদ আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে দোকান নির্মাণ না করতে বলে। তাদের হয়রানি ও হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে আমি গত ২৩ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে (দক্ষিণ) মিচ মামলা ১৫৯৮/১৯ দায়ের করি। আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৫ ধারা মতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
আমি কেন আদালতে মামলা দায়ের করেছি, তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যুরা আমাকে ঘটনাস্থলে চড় তাপ্পড় মেরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। ২৫ ডিসেম্বর রাত ভোর ৪টায় দোকান নির্মাণ কাজ শেষ হলে আমাকে ছেড়ে দেয়। তারা আমার মোবাইলটিও ছিনিয়ে নেয়। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মফিজ উদ্দিনকে জানিয়েছি। বাঁশখালী থানায়ও অভিযোগ দিয়েছি। অথচ ভূমিদস্যুরা আমার জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের পর উল্লাস করছে।’
চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাতারাতি একজনের জায়গা আরেকজন দখল করে দোকান নির্মাণের ঘটনাটি জেনে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এভাবে জায়গা দখল করার ঘটনাটি খুবই আতংকের ব্যাপার এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল।’
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘জায়গার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’
ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চাম্বলে জায়গা দখলের ব্যাপারে দু’পক্ষকে ডাকানো হয়েছে। বিষয়টি জোরালো তদন্ত চলছে। জায়গা দখলের ঘটনা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জায়গা দখলকারী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা নিজের জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছি। কারো জায়গা দখল করিনি। কাউকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেনি এবং মোবাইলও নিইনি। আব্দুর রহমানের অভিযোগ মিথ্যা।’
এএইচ