চট্টগ্রামে চায়ের প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২১ বস্তা চা পাতা এবং ১২০০ প্যাকেটে প্রায় ১৭০০ কেজি অবৈধ চা-পাতা জব্দ করেছেন চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকা, অবৈধ ট্রেডমার্ক ব্যবহার, চা বোর্ডের লাইসেন্স না থাকায়, পঞ্চগড় থেকে চা ক্রয়ের প্রমাণপত্র না পাওয়ায় নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় এসএস ট্রেডিং প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ চা-পাতা জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় এসএস ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল হাসান সোহেলকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০২১ সাল থেকে তিনি চায়ের ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বর্তমানে অবৈধভাবে এর নাম ব্যবহার করে চা ব্যবসা পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী শরীফ। ক্রেতা সেজে চা ক্রয়ের চেষ্টা করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে সটকে পড়েন শরীফ।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নামে-বেনামে অবৈধ চা মজুদ এবং অনুমোদনহীন প্যাকেটে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চা ব্যবসায় এসব অনিয়ম বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চলমান থাকবে।’
আরএম/ডিজে