ম্যাচটি এক অর্থে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বসুন্ধরা কিংস কিংবা চট্টগ্রাম আবাহনী কোনো দলের জন্যই। কারণ, এই ম্যাচের আগেই নিশ্চিত হয়েছিল দুই দলের কোয়ার্টার। গত মৌসুমের তিনটি ট্রফির দুটি ঘরে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ এবং প্রিমিয়ার মিলিয়ে ম্যাচ হেরেছিল মাত্র দুটি। সেই বসুন্ধরা কিংস এবার মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচেই কুপোকাত। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ম্যাচে বসুন্ধরাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্রুপসেরা হওয়ার সেই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস মাঠে নামায়নি তাদের সেরা খেলোয়াড় কলিন্দ্রেসসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন তার রিজার্ভ বেঞ্চকে একটু ঝালাই করে নিয়েছেন।
সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের দলটি প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বড় একটা কৃতিত্ব নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ম্যাচ হারার পাশাপাশি বসুন্ধরা কিংস একজন খেলোয়াড়ও হারিয়েছে। দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার তাজিকিস্তানের নাজারভ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন বিরতির বাঁশির একটু আগে। ২৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়া এবং ৪৫ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বসুন্ধরা কিংস দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। উল্টো দ্বিতীয় গোল খেয়ে ২-০ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রুজনের শিষ্যরা।
একটা সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকেই প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় গোল করে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বাম দিক দিয়ে ঢুকে চিনেদু ম্যাথুর ক্রস পড়েছিল ছোট বক্সের মাথায়। সেখানে আভরিকোস্টের দিদিয়ের এবং বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক গায়েগায়েই দাঁড়ানো ছিল। দুই জনের কেউই বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। বল চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো রাকিব হোসেনের সামনে। তিনি ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন চট্টলার দলটিকে। ৭৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আইভরিকোস্টের চার্লস দিদিয়ের। ডান দিক থেকে নাসিরের ক্রসে হেডে গোল করেন দিদিয়ের।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনী কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে। আর বসুন্ধরা কিংস খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে।