সীতাকুণ্ডের একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষক রানা (২০) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোরে সীতাকুণ্ডের আমিরাবাদে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্রসহ ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। ঘটনার পর নিহত ধর্ষক রানার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. মাশকুর রহমান জানান, ‘সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণকারী রানার সঙ্গে র্যাব-৭ এর টহলদলের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রানা ও তার সহযোগীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। র্যাবও তখন পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামলে সেখানে রানাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রানার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে টহলদল।’
জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের একটি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে আচার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে রানা। তিনি পূর্ব আমিরাবাদের নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা (নং ৫) দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আমিরাবাদ এলাকায় রানা নামের এক যুবকের নাম উল্লেখ করা হয়।