বন্দর শ্রমিকের করোনা নেগেটিভ, আনোয়ারায় ২৮ পরিবারের লকডাউন প্রত্যাহার

চট্টগ্রামের আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের আবদুল রশিদ (৪৬) নামের এক বন্দর শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট প্রথমে পজিটিভ আসলেও দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এতে ওই এলাকার লকডাউন তুলে নিয়েছে প্রশাসন। তবুও সন্দেহ দূর করতে তৃতীয় দফা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ মে নতুন করে আরও ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হলে এখনও রিপোর্ট আসেনি।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক আনোয়ারা পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন এলাকার আবদুর রশিদের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। পরে তার সংস্পর্শে আসা ঐ এলাকার ২৮ পরিবারকে লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসকের পরামর্শে তার বাড়িতেই রাখা হয়। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিরসহ তার সংস্পর্শে আসা ১৪ জনের নমুনা বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হলে সবার পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর আরও নিশ্চিত হতে গত ৩ মে রশিদের তৃতীয় বারসহ আরও ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়। যার ফলাফল এখনো আসেনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিন বলেন, উপজেলার ওষখাইন গ্রামে করোনা রিপোর্টে পজেটিভ আসা ব্যক্তির দ্বিতীয় বার রির্পোটে নেগেটিভ এসেছে। আমরা সন্দেহ দূর করতে তৃতীয় দফায় ঐ ব্যক্তির নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আনোয়ারায় এ পর্যন্ত ৩১ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে ২৮ জনের রির্পোট নেগেটিভ আসে, বাকী ৩ জনের রির্পোট এখনো আসেনি।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ওষখাইনে করোনা পজিটিভ ব্যক্তির দ্বিতীয় রির্পোটে নেগেটিভ আসার পর আমরা ঐ ব্যক্তিসহ ২৮ পরিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে সন্দেহ দূর করতে তার তৃতীয় দফা নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!