চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব

0

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার বিষয় ব্যাখ্যা দিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জানুয়ারি তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, হাইকোর্টের কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। পেলে হয়তো বলতে পারবো কেন তলব করা হয়েছে। কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা বন্দর কতৃপক্ষ উচ্ছেদ করেছে। মামলাকারীরা মনে করছেন হয়তো উচ্ছেদ কম হয়েছে তাই তারা আবার মামলা করেছেন।

s alam president – mobile

তিনি বলেন, কর্ণফুলীর উচ্ছেদ করবে জেলা প্রশাসন। অবৈধ দখলে আমাদের কোন জায়গা নেই।

প্রসঙ্গত- কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

Yakub Group

ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাউদ্দিন আহমেদ।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হয়নি হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে সময় দেন।

সময় পার হয়ে গেলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।
এ সময় আদালত বলেছেন, ইদানীংকালে দেখা যায়, অনেক কর্মকর্তাই আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে অনীহা দেখাচ্ছেন।

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশের কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব ওমর ফারুক।

এএস/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!