বন্দরে জট এড়াতে কনটেইনার দ্রুত খালাস নেয়ার অনুরোধ

এলসিএল কনটেইনার (একাধিক আমদানিকারকের পণ্যবোঝাই কন্টেইনার) বন্দরের ইয়ার্ড থেকে দ্রুত খালাস নিতে বিজিএমইএ’কে অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

‘রপ্তানি কনটেইনারের সংকট ও রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করা’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘দ্রুততম সময়ে আমদানিকারকেরা কনটেইনার খালাস নিলে বন্দরে জট হওয়ার কোনো শঙ্কাই নেই। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরণের কোনো সংকট তৈরি হয়নি, হবেও না।’

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কনটেইনারের বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি বাণিজ্য যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি, চিঠি দিয়েছি। এর সুফল মিলেছে। এখন রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’

সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনা শুরুর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা ৬ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ অর্থবছরে এ খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলেই আমরা এটি অর্জন করতে পেরেছি।’

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস রেজা, সচিব ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম ও টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই-খুদা মিল্লাত উপস্থিত ছিলেন।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!