বদলির পরও চট্টগ্রাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) এক চিফ ইন্সপেক্টর এখনও ছাড়ছেন না কর্মস্থল। টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় দুই আরএনবি সদস্য র্যাবের হাতে আটকের পর তাকে বদলি করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু এরপর দুই মাস পার হয়ে গেলেও চট্টগ্রামে বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। তবে তাকে বিশেষ কারণে চট্টগ্রামে রাখা হয়েছে এবং দ্রুত ছাড়পত্রও দেওয়া হবে বলে জানান রেল পূর্বাঞ্চলের জিএম।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই র্যাবের হাতে আটক হয় আরএনবির দুই টিকিট কালোবাজারি। এর পরদিন আরএনবির চিফ ইন্সেপেক্টর (সিআই) সালামত উল্লাহকে বদলি করা হয়। তাকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে লাকসাম রেল স্টেশনে সিআই হিসেবেই বদলি করা হয়। আর লাকসামের সিআই এয়াসিনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। কিন্তু সালামত উল্লাহ এখনও বদলি হওয়া কর্মস্থলে না যাওয়ায় এয়াসিন উল্লাহও আসেননি চট্টগ্রামে।
এদিকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আরএনবির তিন চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) এবং এক এসআইসহ চারজন বদলি করা হয়েছে।
দপ্তরাদেশে সিআই মো. সিরাজুল ইসলামকে জামালপুর জেলা দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে বিমানবন্দর, সিআই নজরুল ইসলামকে ( সিআই, আইবি/ঢাকা) থেকে পরিদর্শক পদে তেজগাঁও, সিআই মো. সাইদুর রহমানকে তেজগাঁওয়ের পরিদর্শক থেকে সিআই, আইবিতে এবং এসআই হাসান মোহাম্মদকে আখাউড়া থেকে জামালপুরের দেওয়ানবাজারে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) আরএনবির চারজনের বদলির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সিআরবির আরএনবি দপ্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবির এক সদস্য জানান, এসব বদলি সাধারণত টাকার বিনিময়ে মিচুয়ালি (সম্মতিতে বদলি) করা হয়।
এ বিষয়ে সদ্য বদলি হওয়া সিআই নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
কমান্ড্যান্ট (পূর্ব) রেজওয়ানুর রহমানের মুঠোফোনেও এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তার নম্বরে এসএমএস দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
সিআই সালামত উল্লাহর বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশেষ কারণে তাকে রাখা হয়েছিল। তবে দ্রুত তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’
জেএস/ডিজে