মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি ৬ দফা বঙ্গবন্ধু কেন ঘোষণা করেছিলেন তার প্রেক্ষাপট কী এবং কেন তাও জানতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন।
সোমবার (৭ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলে তিনি।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা যে দিবসগুলো পালন করি সেগুলোর তাৎপর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করতে হবে, আমাদের অনেক বড় নেতার মধ্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন চট্টগ্রামে কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওইদিন সকালে নগীর খাতুনগঞ্জে একটি মিছিল থেকে এমএ আজিজকে ফকা চৌধুরীর (ফজলুল কাদের চৌধুরী) গুণ্ডারা হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলেই জহুর আহমদ চৌধুরী লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত শ্রমিক-জনসভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন, এমএ আজিজের কিছু হলে চট্টগ্রামে আগুন জ্বলবে। সেদিন মানিক চৌধুরীর মা যশোদা বালা ফকা চৌধুরীর গুণ্ডাদের গলার হার ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন দোহাই তোমাদের, আজিজকে মেরো না। সেদিন সোনার হার পেয়ে গুণ্ডারা আজিজকে হত্যা করেনি। এ ইতিহাস অনেকেই জানেন না।
তিনি বলেন, ৭ জুন অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম দেখিয়ে দিয়েছিল ৬ দফার বীজ থেকে স্বাধীনতার বটবৃক্ষ পল্লবিত হবে।
মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ৬ দফা ছিল নব্যসৃষ্ট পাকিস্তানে নিপীড়িত ও বঞ্চিত পূর্ববাংলাকে সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধারে এক পরিপূর্ণ মুক্তির সনদ। এ সনদ আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির ঠিকানার সন্ধান দিয়ে গেছে।
এসময় চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিয়ে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করে আস্থা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফউদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের শাহাবুদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, নুরুল অমিন কালু, মো. জানে আলম, মো. নুরুল আলম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মো. ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মো. আবু তাহের প্রমুখ।
এআরটি/এসএ