বঙ্গবন্ধুর সহচর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হকের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি)।

১৯৮৭ সালের এই দিনে নিজ গ্রামের নিজ বাসভূমে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

একে ফজলুল হক ছিলেন ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।

একে ফজলুল হক ১৯৩২ সালের ১৭ জুলাই রাউজানের এক সম্ভ্রান্ত ও বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাউজান থানায় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালনকারী ‘বড় মাস্টার’ খ্যাত আধ্যাত্মিক পুরুষ হযরত ওচমান আলী মাস্টার (রহ.) এর প্রথম পুত্র।

তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ আন্দোলন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৮ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাউজান থানার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িক ও দুর্বার সাহসী ফজলুল হক অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি রাউজান চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন।

রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা জনাব হক গহিরা শান্তির দ্বীপ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিরও দীর্ঘ সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে মরহুমের তেত্রিশতম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে তাঁর পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যান স্মৃতি পাঠাগার, আমরা করবো জয় সংগঠনের উদ্যোগে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!