জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা রব্বানী হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এডভোকেট মো. আইয়ুব খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এই মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মানসুর আলম ও সাইফুল ইসলামকে নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে বিলাই সাইফুল বিচার চলাকালে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়েছিলেন। তখন তাকে জেরা করা যায়নি। বিচার কাজ চলমান রেখে রায় দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। উচ্চ আদালত সাইফুলের বিষয়ে রায় প্রদানের নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল মাইক্রোবাসে করে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন কমডোর গোলাম রাব্বানি। তিনি তখন চট্টগ্রামের কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ দিন পর তিনি মারা যান।
ওই হত্যা মামলার রায়ে ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ হাশেম ও আব্দুল মালেক সোহেল নামের তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। মো. হাশেম ও সোহেল উচ্চ আদালতে খালাস পান, মো. সেলিমের যাবজ্জীবন বহাল থাকে। কেইপিজেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের চৌধুরী ও সাবেক প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয় এবং ৫০ হাজার টাকা জারিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলে শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার রায় ঘোষণার পর ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। উচ্চ আদালত দুই আসামি আবু নাসের চৌধুরী ও হুমায়ুন কবিরের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
কমডোর গোলাম রাব্বানী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নৌপরিবহন বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলায় তিনি রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এফএম/এসএ