ফ্লাইওভারে ঘুড়ির সুতা বেঁধে ছিনতাই করত ওরা ৬ জন

চট্টগ্রাম নগরীতে ফ্লাইওভারে উঠতেই গলায় ঘুড়িতে ব্যবহার্য সুতা বেঁধে তাতে প্যাচিয়ে দেওয়া হত পথচারীদের। সেই সাথে কেড়ে নেওয়া হত তাদের সাথে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র। মাঝেমাঝে গলায় জখম নিয়ে ঘরে ফিরতেন ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ব্যক্তিরা। চলাচলরত গাড়ি আটকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য দীর্ঘদিন ধরে ফ্লাইওভারে সুতা বেঁধে ছিনতাই করে আসছিলো একটি চক্র। চক্রটিকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা করেছিলেন ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টায় নগরীর আকবরশাহ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মাহমুদুল হাসান মামুন।

আটককৃতরা হল ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন দক্ষিণ ভাটামারা মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩২), জোরারগঞ্জ থানার রসূলপুরের মো.দিদারের ছেলে মো. সুমন (১৯), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার হিজলতলীর মৃত আলম শাহের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (১৯) ও নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার নিতাই নাছেরের ছেলে মো. হাসান ওরফে আকাশ (১৯)। তারা বর্তমানে পাহাড়তলী থানার জোলাপাড়ায় বাস করে।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক হাটহাজারী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারি নগরীর বিভিন্ন ফ্লাইওভারের উপর সুতা বেঁধে ছিনতাইকারী চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে আকবরশাহ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে সাহের পাড়া রোডের পশ্চিম মাথায় ফুটপাতের উপর অবস্থান করছিল বলে তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করা হয়।’

তিনি জানান, আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা নিরীহ পথচারীদের মালামাল, মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে সুতার জাল তৈরি করে। তাদের কাছে দেশি অস্ত্রও রয়েছে। পরে আসামিদের দেহ তল্লাশি করে ৪ টি ছোরা উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাতে ছিনতাই, ডাকাতি, ফ্লাইওভারের উপর সুতা বেঁধে ছিনতাই করে আসছিলো।

গ্রেপ্তারকৃতদের আকবরশাহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই র‍্যাব কমকর্তা।

আরএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!