ফ্লপ মারলো পার্সেল ট্রেন, তিন দিনেই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মন্ত্রণালয়

বিশেষ ব্যবস্থায় চালু করা প্রথম পার্সেল ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যায় জুতা, ফার্নিচার, টায়ার। শনিবার দ্বিতীয় ট্রেনে উঠে শুধুমাত্র ১০ পিস ফার্নিচার এবং এক বান্ডেল প্লাস্টিক পাইপ। দুই বস্তা ঝাড়ু, তিন বস্তা রাবার ও ১৩ পিচ ডোর সাটার নিয়ে রোববার পার্সেল ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ৷

কিন্তু প্রতিদিনই পার্সেল ট্রেনের ৫টি বগির মধ্যে ৪টি ছিল খালি! এই খালি বগিগুলো নিয়ে ট্রেন চালানোর ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আর্থিকভাবে হতে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই এই পার্সেল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তিন দিন ধরে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু ৫টি বগির ৪টিই খালি গেছে চট্টগ্রাম থেকে। তাই এ ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে মন্ত্রনালয়। রোববার সন্ধ্যার মধ্যে পার্সেল ট্রেন বন্ধের অফিসিয়াল অর্ডার আসতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রিয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা খাদ্য দ্রব্য, ফল, মাছ, পচনশীল দ্রবাদি ট্রেনের চাইতে ট্রাকে পরিবহন সুবিধাজনক মনে করছে। তাই ট্রেনে পণ্য পরিবহন করা থেকে বিরত থেকেছে।’

জানা যায়, ১ মে থেকে জরুরী পণ্য পরিবহনের জন্য তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রণালয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-খুলনা এ তিনটি রুটে ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত তিন দিন পার্সেল ট্রেন চলাচল শুরু করে। কিন্তু কোন রুটেই ১টির বেশি বগিতে মালামাল পরিবহন হয়নি। এতে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এ ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে রেল মন্ত্রনালয়।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কলকারখানা বেশিরভাগ বন্ধ। আবার জরুরি পণ্য ছাড়া ট্রাকে মালামাল পরিবহন করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। সব ধরণের মালামাল নিতে ট্রাক চলাচল করতে না পারায় রেলস্টেশনে পণ্য পৌঁছাতে পারছেননা তারা। স্টেশন পর্যন্তই যদি মাল নেওয়া সম্ভব না হয় ট্রেনে মাল পরিবহনেরতো সুযোগ নেই।

রিয়াজুদ্দিন বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবুল কাসেম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম আনতে এ মুহুর্তে
সুবিধাজনক পরিবহন ট্রাক। রাস্তায় যানজট না থাকায় অল্প সময়ে ট্রাক গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। ট্রেনে পরিবহন করতে হলে লোড এবং আনলোডের পাশাপাশি ট্রাকে করে স্টেশন থেকে পণ্য গন্তব্যে নেওয়ার ঝামেলাতো আছেই।

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!