চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হলেও এই ইস্যুতে রহস্যজনকভাবে নিরব রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তারা কোন বিবৃতিতে দেয়নি। তবে উপাচার্যের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানানোর কথা বলেছেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি এ কথা বলেন। তবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘােষের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
ড. সেলিনা আখতার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ মুহূর্তে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি না। আমরা উপাচার্য ম্যামের সাথে কথা বলবো। ওনার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তারপর জানাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি ইতোমধ্যে তিনি (উপাচার্য) ব্যবস্থা নিয়েছেন। যার নাম শোনা যাচ্ছে তাকে আলাদা করে দিয়েছেন, অন্য ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আরেকজনকে সম্ভবত এরেস্ট করেছেন। আর এ ধরনের একটা প্রোপাগাণ্ডা হতে পারে জেনেই রেজিস্ট্রার সাহেব জিডি করে রেখেছেন। জিডির কপিও আমি দেখেছি। এটা হলো শিক্ষক ও কর্মচারী সংক্রান্ত একটা বিষয়। উনি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগের পর অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শােনা যায়। অপর একটিতে ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলাের শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়ােজন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী।
ওই লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ফারসি বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিনের ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া অডিওগুলোতে উপাচার্যের ভাতিজা আজফার কামাল চৌধুরী শাওন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিদ্দিকী ছাড়াও উপাচার্যের নামও ওঠে আসে।
এ ঘটনায় উপাচার্যের পিএসকে অপসারণ করে তার আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিপি