ফেসবুকে চবির ২ ছাত্রীর হেনস্তা, মুচলেকায় ছাড়া পেল আইআইইউসি ছাত্র
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনিস্টিটিউটের দুই ছাত্রীকে হেনস্তা করায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী কৌশলে আইআইইউসির ওই শিক্ষার্থীকে চারুকলা ক্যাম্পাসে ডেকে আনে। ক্যাম্পাসে আসলে তাকে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে চকবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তার এক অভিভাবক ও আইআইইউসির এক সহকারী প্রক্টরের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত আইআইইউসি শিক্ষার্থীর নাম সাইয়েদ আজহারুল আমীন। সে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার লড়িবাগ গ্রামে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভারতের একটি স্কলারশিপের জন্য এক জায়গায় আমরা আবেদন করি। পরে পরীক্ষার তারিখ আমাদের মেইলে আসে। যেখানে আমাদের সবার ফোন নম্বরও ছিল। একই মেইল সবার কাছে যায়। সে মেইল থেকে আইআইইউসির শিক্ষার্থী আমাদের নাম খুঁজে ফেসবুকে আমাদেরকে মেসেজ পাঠাতে থাকে। এতে বিভিন্ন আজেবাজে কথাও লিখে। পরে আমরা তাকে বুঝানোর জন্য ক্যাম্পাসে ডাকি। ক্যাম্পাসে আসলে তাকে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে তার ভুল অস্বীকার করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তার মুঠোফোনে চেক করে মেসেঞ্জারে একাধিক মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের হেনস্তা করার প্রমাণ মিলে। এছাড়া তার ব্যাগে কনডম পাওয়া যায়।’
বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাকে চকবাজার থানায় পাঠিয়ে দিই। পরে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তাদের একজন সহকারী প্রক্টর আসেন। তাদের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তার এক অভিভাবক ও সহকারী প্রক্টরের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এএইচ