চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে হিন্দুদের তীর্থস্থানে আজান দিয়ে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার জের ধরে আটক সেই দুই যুবকের সঙ্গে জঙ্গি যোগসূত্র আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ। দুজনকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) চন্দ্রনাথ পাহাড়ের এই ঘটনায় আটক দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এমনটিই জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী।
এ বিষয়ে কেশব চক্রবর্তী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম, আদালত আমাদের একদিনের রিমান্ড মন্জ্ঞুর করেছেন। আমরা আটক দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের সাথে কোন জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
এর আগে মুহাম্মদ শিব্বির বিন নজির নামের ফেসবুক আইডি থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই যুবক ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন— ‘চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আজান দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে।’
এই পোস্টটি দেওয়ার পর শুরু হয় নানান সমালোচনার। সেই যুবককে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেন অনেকে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে চট্টগ্রাম জেলার গোয়েন্দা পুলিশ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর থেকে দুজনকে আটক করেছে। এদের একজন পোস্টদাতা মুহাম্মদ শিব্বির বিন নজির এবং অপরজন মো. রিফাত। এরা দুজনেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র। ওই মাদ্রাসাটি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পরিবার পরিচালনা করে থাকে।
এদিকে ওই ঘটনার পর মন্দিরের নিরাপত্তার খাতিরে সীতাকুন্ড স্রাইন কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন দাশ জানান, মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরসহ সকল মন্দিরের প্রবেশমুখে গেইট স্থাপন ও নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ স্মৃতিস্তম্ভের আগে দর্শনার্থীদের পরিচয় রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্ত করারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিএস/সিপি