ফেনী কারাগারে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিস সুপার বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মনির হোসেন বলেন, ‘সকালে আবেদনের পর কিছুক্ষণ আগে শুনানি হয়েছে। আদালত আবেদনটি আদেশের জন্য রেখেছেন।’
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ পিটিশনের বরাত দিয়ে জানান, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের পর আসামিরা মারমুখী আচরণ করছে। তাদের নির্দেশে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জেল কোডের তোয়াক্কা না করে কারাগারে বাবুলের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি দীর্ঘসময় ওই কক্ষে তল্লাশীর নামে বাদীর জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, জেল কোড অনুসারে কর্মরত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কোনোভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজ্ঞ আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। কিন্তু আইন ও প্রচলিত নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দোখিয়ে ওসি নিজাম কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশীর নামে তার জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছেন। যা জেল কোড অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আরও বলেন, ‘এই যাত্রায় আসামিরা সফল না হলেও অভিযোগকারী বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের জীবননাশসহ যেকোনো ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন। তাই বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে তার পক্ষে পিটিশনটি দায়ের করেছি।’
তবে জেল সুপারের কক্ষে যাওয়ার কথা বললেও কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।
মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এতদিন পর বানোয়াট গল্প তৈরী করে মামলার মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করছে। উনার অভিযোগ সত্য না। আমি কোন ক্ষমতাবলে ওনার কক্ষে যাব?’
ফেনী জেল সুপার আনোয়ারুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের কক্ষে ওসি যাননি। ওইদিন উনি ওনার থানার মামলা সংক্রান্ত কী যেন কাজে এসেছিলেন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর চলে গেছে। বাবুল আক্তারের কক্ষে গিয়ে তল্লাশীর অভিযোগ সত্য নয়।’
আইএমই/এমএফও