ফুটপাতে চাঁদাবাজি—হকারকে বাসায় বেঁধে নির্যাতন-অপহরণ, কারাগারে গেল ছাত্রলীগ নেতা

চট্টগ্রামে ফুটপাতে চাঁদাবাজি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ জুন) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিফাতুল ইসলাম নামে এক অপহৃতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া চাঁদাবাজ আবু বক্কর ছিদ্দিক (২৫) ডবলমুরিং থানার মোগলটুলি হাজী ইয়াছিন আলী লেইনের জাকিরুল হকের ছেলে। আবু বক্কর চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বলে জানা গেছে। কলেজ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এবং এক মন্ত্রীর ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে হকারদের থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করতো।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আবু বকর ফুটপাতে চাঁদাবাজি চক্রের সদস্য। সে মুন্না নামের এক জনের গ্রুপে আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে। তারা গ্রুপে ৫ জন। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে তুলে নিয়ে যেত। মারধর করে প্রথমে যা পেত তা ছিনিয়ে নিত। এরপর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করত।

তিনি বলেন, রিফাতও আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের ফুটপাতে ব্যবসা করতেন। তার কাছেও চাঁদা দাবি করে মুন্না বাহিনী। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায় মুন্না বাহিনী। প্রথমে তাকে মারধর করে ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার পরিবারের কাছে ফোন করে আরও এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তার পরিবার কালক্ষেপণের জন্য ৫ হাজার টাকা দেয়। এরপর কৌশলে আমাদের অবহিত করে। অভিযোগ পাওয়ার পর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডের প্রাথমিক শিক্ষা ভবনের পরিত্যক্ত নীচতলা থেকে রিফাতকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে যায় বাকিরা।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বক্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে ছাড়াও মুন্নার গ্রুপে শুভ দাশ (২৩), শাহ আমানত শিশির (২৬) ও রহমান (২০) সহ আরও কয়েকজন কাজ করে বলে জানায়। এর আগেও একই কায়দায় একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলেও জানায় সে। মূলত ফুটপাতে চাঁদাবাজির আধিপত্য বজায় রাখতেই তারা এ পন্থা অবলম্বন করে থাকে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক বাকিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

আদর/এসএ

Yakub Group

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!