ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এবং ফিলিস্তানের স্বাধীনতাকামী ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের জামালখানের প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র অপূর্ব বডুয়া বলেন, ‘পৃথিবীটা মানুষের হোক, সকল প্রাণী শান্তিতে বসবাস করুক। পৃথিবীর বাকি মানুষের মত ফিলিস্তিনের মানুষের ও অধিকার রয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার।’
হেদায়েতুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ উদ্দীন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা-স্কুলগুলো ইসরাইলি বাহিনী মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। দখলদার ইসরায়লিদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ধীক্কার জানাই। সেইসঙ্গে ফিলিস্তানের সাধারণ মানুষের পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বরূপ ঘোষ বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল জয়ী হয়ে ড. ইউনুছ দখলদার ইসরাইলকে ১০০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দিয়ে শান্তি এবং মানবতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মহাগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর মানববন্ধনে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ইসরাইল কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে স্বাধীন স্বার্বভৌম ফিলিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তানি জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে অবিলম্বে হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার দাবি জানানোয় বাংলার ছাত্রসমাজ তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন খোরশেদ আলম মানিক, হালিম শিকদার মিতু, আনিসুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম, ইমাম উদ্দিন নয়ন, আরাফাত রুবেল, মোশরাফুল হক পাভেল, হাবিব রহমান, রাকিব হায়দার, কাজী নাইম, জুবায়ের আলম আশিক, লায়লা সিকদার লিপিও রুপ বিশ্বাস।