চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গবাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের বাসায় ও নির্বাচনী ক্যাম্পে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ছেন সালাউদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসান মুরাদ বিপ্লবের বাসার সামনে মিছিল করেছে সালাউদ্দিনের সমর্থকরা।
তবে প্রার্থীর বাসায় হামলার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে এর পিছনে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকার কথা বলছেন বিপ্লব।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার গুলির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কথা বলতে কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে সালাউদ্দিন লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রিয় এলাবাসীর দোয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ সুস্থ ও নিরাপদে আছি।গভীর রাত হতে এখন অবধি অনেকেই যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি, আমার পরিবার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই সকলের ফোন কল রিসিভ করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে হঠাৎ দেখি আমার বাসার সামনে দুই শতাধিক ছেলে মিছিল করছে সালাউদ্দিনের বাসায় হামলার প্রতিবাদে। সালাউদ্দিনের বাসায় হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক। কিন্তু ঘটনার সাথে সাথেই এত ছেলেপেলে আসলো কোথা থেকে। আমার মনে হচ্ছে কেউ এখানে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। এই বিষয়টি প্রশাসনকে সিরিয়াসলি তদন্ত করার দাবি জানাই আমি।’
গুলির খবর পেয়ে নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিপ্লবের অভিযোগের বিষয়ে ওসি নেজামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে এই বিষয়ে কথা বলতে অনাগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন ‘আপনি যার সাথেই কথা বলেন না কেন আমার কথা হলো আমরা ঘটনার পরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
এমএফও/এমএহক