চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সার্কেলের সাবেক কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাটের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ২০২১ সালের মার্চে নগরীর বনফুল আগ্রাবাদ শাখার এজেন্ট (আউটলেট) মালিক শাহ আলমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে নাজমুলের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের পর তাকে বান্দরবানের লামায় বদলি করে কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন যেতে না যেতে ওই বছরই কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আগ্রাবাদ সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন তিনি।
এরপর দীর্ঘদিন ওই সার্কেলে থেকে ব্যবসায়ীদের নানা ইস্যু নিয়ে ও ফাইল আটকিয়ে ঘুষ নিতেন নাজমুল। তার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন ওই সার্কেলের ‘ফালতু’ বজলুর রহমানসহ কয়েকজন কম্পিউটার অপারেটর।
২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ঘুষ নেওয়ার ভিডিওসহ নাজমুল হোসাইনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনে। সংবাদ প্রকাশের ৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বদলির আদেশ দেন চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ১৯ জুন অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অপরাধে নাজমুল হোসাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়। একই বিষয় দেখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় কাস্টম কর্তৃপক্ষকে।
দুদক অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল হোসাইনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলে সাড়া মেলেনি।
এমএ/ডিজে