ফটিকছড়িতে দপ্তরির ঘুষিতে স্কুলছাত্র মারাত্মক আহত

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

দুষ্টুর ছলেও এখন কাউকে কিছু বলা যাবে না। বললেই আহত অথবা নিহত। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ফটিকছড়ির হাইদছকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। দুষ্টুমির ছলে সহপাঠীকে মেজ্জান ও পেটু ডাকায় আকবর হোসেন (রবিন) নামে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন স্কুলের দপ্তরি ইমরান চৌধুরী। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অভিযুক্ত দপ্তরি ইমরান চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে স্কুলে সব ধরনের ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, আকবর হোসেন রবিন পূর্ব হাইদছকিয়া খালাচির বাড়ির মৃত মজাহারুল ইসলামের ছেলে। রবিন মঙ্গলবার তার সহপাঠীকে দুষ্টুমি করে মেজ্জান ও পেটু ডাকলে স্কুলের দপ্তরি ইমরান গণিত ক্লাস শেষে এসে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে দপ্তরির মুষ্টিবদ্ধ হাতের ঘুষিতে ঐ ছাত্রের একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেদিনই তাকে নগরীর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে আহত রবিনকে চক্ষু হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। চোখের অবস্থা সপ্তাখানের মধ্যে উন্নতি না হলে চোখ অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

আকবর হোসেন রবিন বলেন, ‘গণিত ক্লাস শেষে আমার সহপাঠী অভিকে মেজ্জান ও পেটু বলে ডাকায় পিয়ন ইমরান চৌধুরী ক্লাসে ঢুকে আমার শার্টের কলার ধরে মাথায় ও ডান চোখে ঘুষি মারে। পরে অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেত দিয়ে মারধর করে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবিএম গোলাম নুর দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রবিনের জন্য খুব দুঃখ হচ্ছে। পিয়নের হাতে ছাত্র মারধরের শিকার হবে এটা ভাবা যায় না। এটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পর পিয়ন ইমরানকে বকাঝকা করাসহ তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাকী/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!