অভিষেক, কথামালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেজবান নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফটিকছড়িবাসীর মিলনমেলা।
চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত ফটিকছড়িবাসী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ফটিকছড়ি সাংবাদিক পরিষদ-চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাজী দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সংগঠনের অভিষেক ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বিশিষ্ট ফটিকছড়িবাসীসহ প্রশাসন ও চট্টগ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।
মিলনমেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
সংঠনের সভাপতি মহসীন কাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক।
উপস্থিত থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভাণ্ডারী, শিল্পউদ্যোক্তা নাদের খান, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদের, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হারুন, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবারয়া, আইনজীবী এসএম ফরমানুল ইসলাম, আইইবির সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান।
আরও বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিবা নূর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালাম উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, জেবুন্নাহার মুক্তা, মাইজভাণ্ডারি ট্রাস্টের সচিব এওয়াইএম জাফর, গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমুদ্র টিটু ও সুলতানা কাজী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ফটিকছড়ির সন্তানরা প্রতিটি পেশায় ভূমিকা রাখছেন নিজেদের মেধা-যোগ্যতা দিয়ে। সাংবাদিকতা পেশায়ও সুদীর্ঘকাল থেকে দেশ-বিদেশে ভূমিকা রেখে পেশার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন তারা। তাদের সংগঠন যে আয়োজন করেছে তা ফটিকছড়িবাসীর হৃদয়ে গেঁথে থাকবে। এটি স্মরণীয় থাকার মতো একটি আয়োজন। ফটিকছড়ি ইতিহাস, ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা এবং ভাষাগত স্বাতন্ত্র সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী একটি উপজেলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতে এবং বর্তমান সরকারের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ফটিকছড়িতে দুটি পৌরসভা, ফায়ারসার্ভিস, ভুজপুর থানা, রাবার ড্যাম, আটটি ব্রিজ, মাইজভাণ্ডার-নাজিরহাট সড়ক, পেলাগাজী-হেঁয়াকো সড়ক, নাজিরহাট-সুয়াবিল-কাজিরহাট সড়ক, মিরসরাই-নারায়নহাট সড়ক, স্থলবন্দর, বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’ তিনি শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতি মহসীন কাজী বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে ফটিকছড়ি সাংবাদিক পরিষদ-চট্টগ্রাম ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এবার মিলনমেলার মধ্য দিয়ে ফটিকছড়িবাসীর মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মিলনমেলার এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি ফটিকছড়ির জন্য যাদের অবদান রয়েছে তাদেরও জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের কর্মকীর্তি সম্পর্কে জানতে পারেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জামাল হাসান, লোক সঙ্গীতের বরপুত্র খ্যাত শিমুল শীল, মাইজভাণ্ডারী গানের জনপ্রিয় শিল্পী জিয়াউদ্দিন বাদশা, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান, শিমুল আকতার ও ইচ্ছে বড়ুয়া।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘শিখড়’ নামের ১২০ পৃষ্ঠার প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
এএস/ডিজে