প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তরুণীকে ধর্ষণ চট্টগ্রামের কলেজছাত্রের

প্রেমে ব্যর্থতার বিষয় আঁচ করতে পেরে প্রেমিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছেন চট্টগ্রামের মহসিন কলেজে পড়ুয়া ছাত্র শাকিল হোসেন রাব্বি।

রোববার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রামের হালিশহরের ঈদগাঁওয়ের বাসা থেকে ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়।

পরে খোঁজ না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করেন মেয়ের মামা সুমন। পরে পুলিশের সহায়তায় ওইদিন রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে মেয়েকেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ আগস্ট) রাতে সিএমপি ইপিজেড থানায় যুবক শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শাকিল হোসেন রাব্বী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আকমল আলী সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে অস্থায়ী ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসীন কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ভুক্তভোগী তরুণীর বরাত দিয়ে মামা সুমন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শাকিলের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে আমার ভাগ্নীর সঙ্গে। কিছুদিন পর আমার ভাগ্নী বুঝতে পেরেছে ছেলেটি একটি উগ্র মেজাজের ও খারাপ প্রকৃতির। এরপর আমার ভাগ্নী তার সঙ্গ ত্যাগ করা শুরু করে। তখন থেকে শাকিল বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলও করতে থাকে তাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৩১ জুলাই হালিশহর থানার ঈদগাঁও কাঁচারাস্তা এলাকায় বাসার সামনে থেকে শাকিল আমার ভাগ্নীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশের পরামর্শে আমি ইপিজেড থানায় যাই। পরে থানার পরামর্শে আমি পাহাড়তলী থানায় যাই। এরপর সেখানে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। ওই জিডি নিয়ে আবার ইপিজেড থানায় পাঠানো হয় আমাকে। পরে ইপিজেড থানার পুলিশের সহায়তায় রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে যুবক শাকিলের বাসা থেকে আমার ভাগ্নীকে উদ্ধার করে পুলিশ।’

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে তরুণীকে ধর্ষণের আমালত পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো করা হয়েছে।’

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!