চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে প্রেমের জেরে মো. আলমগীর নামের এক যুবককে ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তার হাত-পায়ের নখ উপড়ে ফেলার অভিযোগও উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বড়উঠান ফাজিল খাঁর হাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ নির্মম ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীর বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আলমগীর (২৫) বড়উঠান ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুতা বেচার বাড়ির মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় বাসচালক আলমগীর আগে থেকেই বিবাহিত।
বিয়ের আগে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিয়ারহাট এলাকার হাবিবা আক্তার নামে এক গার্মেন্টসকর্মীর সঙ্গে। ছেলের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার ছিল বিরোধী। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে।
আলমগীর জানান, শুক্রবার রাতে হাবিবা তাকে ফোনে ডেকে নেয়। এরপর রাতভর একটি কক্ষে আটকে রাখার পর শনিবার সকালে হাবিবার মা, দুই ভাই, দুই বোন ও দুই বোনের জামাই মিলে তাকে চোখ, হাত ও পা গামছা দিয়ে বেঁধে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তার হাত ও পায়ের আঙুলের নখ তুলে ফেলা হয়।
আহত আলমগীরের ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ভাই যদি কোনো অন্যায় করেও থাকে, আইন আছে, পুলিশ প্রশাসন আছে। কিন্তু এভাবে গৃহবন্দি করে নখ তুলে নেওয়ার মত পাশবিক নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিচার চাই।
এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ওসি মো. শরীফ বলেন, আহতের পরিবার আমাদের অভিযোগ জানিয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেজে/ডিজে