ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানা ও আদালতে দায়েরকৃত মামলার তদন্তে সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী পরিবার বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক বিভিন্ন আদালত/থানায় দায়েরকৃত মামলায় সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না।
ওই একই সভায় এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, গত জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক দায়েরকৃত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মামলায় তদন্তপূর্বক কোনো কর্মকর্তা/ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ হাসিনার সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের দিয়ে নির্বিচার গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু এসব ঘটনায় একের পর এক মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের করা কোনো কোনো মামলায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় বিরোধের জেরেও কোনো কোনো ব্যক্তিকে অন্য অনেকের সঙ্গে মামলায় আসামি করার অভিযোগ আছে। এর ফলে মামলা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের মামলায় ভুক্তভোগীদের অর্থাৎ নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন আইনবিশেষজ্ঞরা।
সিপি