চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও দুই উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। এর আগে পদত্যাগ করেন প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট। এর ফলে কার্যত প্রশাসন শূন্য হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টিকে নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে অচিরেই উপাচার্য নিয়োগ দিতে সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে দুই উপাচার্য (একাডেমিক ও প্রশাসন) পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) রাতে উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) একযোগে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টেরা একযোগে পদত্যাগ করেন।
বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও দুই উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। এর আগে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টেরাও পদত্যাগ করেছেন।
প্রশাসন থেকে সবার পদত্যাগের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
ক্ষমতার পটপরিবর্তন, ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে প্রশাসন থেকে একে একে সবাই পদত্যাগ করেন।
এদিকে সরকারের দায়িত্বশীলদের দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করায় বর্তমানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত মনোযোগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সচল করা, মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দিয়ে আবাসিক হল খোলার বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। সিন্ডিকেটের এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য বা উপ-উপাচার্য দরকার। বর্তমানে যিনি রেজিস্ট্রার আছেন তিনি ভারপ্রাপ্ত, তার উপর অবসরপ্রাপ্ত। তাই অতি দ্রুত অন্তত উপাচার্য পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে উপাচার্যের আসনে দেখতে চাই, যিনি একাডেমিক লোক, সৎ এবং নিরপেক্ষ; যিনি গবেষণাবান্ধব। যিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকেই সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিবেন।
এমআই