প্রশাসকের হাতেই যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভার!
করোনায় অনিশ্চিত নির্বাচন, ৫ আগস্ট শেষ হচ্ছে চলতি মেয়াদ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলতি মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। নিয়ম অনুযায়ী এর আগেই নতুন নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও হঠাৎ করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন পরিষদ নির্বাচনের আপাত কোন সম্ভাবনা বলতে গেলে নেই। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসক দিয়েই সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার ওপর ন্যস্ত হতে পারে চসিক পরিচালনার ভার। স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, চসিকের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ একেবারেই শেষের দিকে। এর মধ্যে যদি নির্বাচন করা সম্ভব না হয় তাহলে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন অনুযায়ী চট্টগ্রামে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
তিনি জানান, “স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, ‘কোন সিটি কর্পোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হইলে, সরকার, সিটি কর্পোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।”
এর আগে ২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের পাশাপাশি চসিক নির্বাচনও স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে ১৮০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগামী ১৪ জুলাই ওই দুই আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে চসিকের নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে ২০১৫ সালের ৫ মে শপথ নেন আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এআরটি/সিপি