প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ওই ভদ্রলোকের বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম…

বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগকারী সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খানের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ছিয়ানব্বই সালে যখন সরকারে এসেছিলাম তখন দেখতাম কেউ কম্পিউটার ব্যবহার করে না। মোবাইল ফোন তো কারও হাতে ছিলই না। বিএনপি সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন তার মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছিল বলে ওই একটা কোম্পানিই ব্যবসা করত। বাংলাদেশের আর কোনো কোম্পানি ব্যবসা করতে পারবে না— এটা একটা অলিখিত অঘোষিত ঘটনা।’

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থাপনা, বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী এবং শিপিং কর্পোরেশনের ৫টি নতুন জাহাজসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা যোগ করেন, ‘তার সেই মোবাইল ফোনটা বিশালাকারের এক ফোন… আর সেটা শুধু ঢাকা-চট্টগ্রামে। কারণ ওই ভদ্রলোকের বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যেই সংযোগ ছিল আর কোথাও ছিল না। এই ধরনের একটা অবস্থা ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ওই ভদ্রলোকের বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম... 1

প্রসঙ্গত, সিটিসেল ছিল প্রথম সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর। ১৯৮৯ সালে এটি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে (৬ লাখের কিছু বেশি) এটি ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিটিআরসি কোম্পানিটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।

সিটিসেলের মূল প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান। গত জুনে সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ছিয়ানব্বই সালে সরকারে এসে মোবাইল ফোন বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাশাপাশি কম্পিউটার..কম্পিউটার কেউ তখন ব্যবহারই করত না। অনেক অফিসে একটা ডেক্সটপ সাজিয়ে রাখা হত। কিন্তু কেউ ওটায় হাত দিত না এমন একটা অবস্থা ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে সজীব ওয়াজেদ জয় (তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা) বলল তুমি যদি এটা (ডিজিটাল বাংলাদেশ) করতে চাও মা, তাহলে (কম্পিউটার ও কম্পিউটার সরঞ্জামের ওপর) ট্যাক্স কমিয়ে দিতে হবে। এটার দাম কমাতে হবে এবং শিক্ষার জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ এ আবার সরকারে আসার পর আমরা উদ্যোগ নিলাম। আজকে সারা বাংলাদেশে আমরা যেটা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব সত্যিই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!