চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ‘স্থবিরতা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ দেওয়া নেতারাই দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না। নালিশের বিপরীতে দলকে সুসংগঠিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভায় দলীয় কর্মসূচিতেই তাদের কাউকেই দেখা যায়নি।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এমন চিত্রের দেখা গেছে।
কর্মসূচিতে আসেননি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালাম। কর্মসূচিতে এসে হাজিরা দিয়ে চলে যান সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এছাড়া নেত্রীর সামনে নালিশ করা দলের যুগ্ম সম্পাদক এম বদিউল আলম বদিরও দেখা মেলেনি কর্মসূচিতে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সম্মেলন না হওয়ার জন্য দুই নেতাকে দায়ী করেন অভিযোগকারীরা। এই সময় প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনে তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের যুক্ত করতে হবে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করে মে মাসে নগর সম্মেলনের পরামর্শও দেন নেত্রী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রমজান মাসেও সম্মেলন করতে পারবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, বদিউল আলম বদি সাংগঠনিক দায়িত্ব হিসেবে দুটি ওয়ার্ডে সম্মেলনের দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু তার মধ্যে একটি অসম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারলেও অন্যটির কোনো হদিস মেলেনি। একই অবস্থা সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের। তাকেও দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি একটি সম্মেলনও সম্পন্ন করতে পারেননি।
তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়। দলীয় কার্যক্রম চলবে দলীয় নিয়মে।’
এদিকে মেয়র এম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার অভিযোগ পুরনো হলেও তার দলে যোগ দিচ্ছে নেত্রীকে নালিশ দেওয়া নেতারাও।
চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবু তাহের, আব্দুল আহাদ, জোবাইরা নার্গিস খান, ড. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী।
আরএস/ডিজে