প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে ২৪ জানুয়ারি নিহতদের স্মরণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে ২৪ জানুয়ারি মানবতা বিরোধী বর্বরতম একটি কালো দিন। আমরা জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডসহ অনেক নৃশংস বর্বরতার কথা জানি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দেয়।’

তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,‘ ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখনই শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়। এই হত্যাকান্ড বর্বরতম ও জঘন্য। এই অপকর্ম অমানবিক।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘২৪ জানুয়ারির চট্টগ্রাম গণহত্যার সময় আমি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। সেদিন সিএমপি কমিশনার রকিবুল হুদার নির্দেশে শেখ হাসিনার ট্রাক বহরে গুলিবর্ষণের বিভীষিকা ও নির্বিচারে গণহত্যার একটি কলঙ্কিত কালো দিন।’

প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, ‘মামলার বিচারিক রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৫ পুলিশ সদস্যের মধ্যে অন্যতম সিএমপির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র মন্ডল (জে.সি.মন্ডল) বিদেশে পলাতক। যে দেশে তিনি রয়েছেন সে দেশের সাথে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক। চট্টগ্রাম গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিবার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সরকারকে সে সমস্ত পরিবারের পুনর্বাসন করার দাবি জানান।চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার বাদী এডভোকেট শহীদুল হুদা ১৯৯২ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তিনি বেঁচে নেই। তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও আহ্বান জানান।’

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কো চেয়ারম্যান চসিক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান সমন্বয়ক সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফর আলী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন, চসিক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সায়রা বানু রৌশ্মী, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হক সওদাগর, মুজিবুর রহমান, সাইদুর রহমান পুতুল, নারী নেত্রী ঝুমা আলমগীর, সাংস্কৃতিক সংগঠক রুপম মুৎসুদ্দী টিটু, কবি সজল দাশ, নগর ছাত্রলীগের সদস্য নাছির উদ্দিন কুতুবী, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।

২৪ জানুয়ারি গণহত্যা দিবসের নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!