চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, ‘বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক দপ্তরে তথ্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন।
মেলা আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের হাতিয়ার, তথ্যই শক্তি, দুর্নীতি থেকে মুক্তি’। জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় তথ্যের গুরুত্ব এবং দুর্নীতির মূল উৎপাটনে সবার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো. ফজল কাদের চৌধুরী, দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদায়াত, সনাক চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম এবং টিআইবির সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর কাজী শফিকুর রহমান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘মেলার সফলতা তখনই অর্জিত হবে, যখন কোনো নাগরিক তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সপ্রণোদিত হয়ে তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। আগে তথ্য দেওয়া ছিল অপরাধ, এখন না দেওয়া অপরাধ।’
অতিথিরা দুর্নীতি প্রতিরোধে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি দপ্তরকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
মেলায় ব্যাপক সাড়া
দু’দিনের তথ্য মেলায় ৪১টি স্টল ছিল, যেখানে সেবা প্রত্যাশীরা প্রায় চার হাজারের বেশি আবেদন জমা দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। মেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
মেলার সমাপনী দিনের আয়োজনগুলোতে ছিল ‘বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতা, দুর্নীতি ও সুশাসন বিষয়ক বিতর্ক, নাগরিক সংলাপ : সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি।
সমাপনী দিনে ২১টি সংগঠনের ২১০ জন তরুণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।