প্রখ্যাত সুরকার আলাউদ্দিন আলী লাইফ সাপোর্টে

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করা দেশের বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে আক্রান্ত। বেশ কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই চলছিলো তার চিকিৎসা। হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

শনিবার (৮ আগস্ট) ভোর পৌনে পাঁচটায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলাউদ্দিন আলীর কন্যা কণ্ঠশিল্পী আলিফ। তিনি বলেন, ‘বাবার অবস্থা বেশ খারাপ। লাইফ সাপোর্টে আছেন। একটু দোয়া চাই সবার কাছে।’

এদিকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আলাউদ্দিন আলী সাহেবের স্ত্রী আমাদের ভোর রাতে ফোন করে জানান যে উনার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। তখনই আমরা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে আনি। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন। সত্যি কথা বলতে উনার শারীরিক অবস্থা ভালো না। রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক। ফুসফুসের একটা অংশ পুরোপুরি নিমোনিক। আগামী ২৪ ঘণ্টা তার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছেন আলাউদ্দিন আলী। ২০১৫ সালের ৩ জুলাই তাকে ব্যাংকক নেওয়া হলে সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের চিকিৎসাও চলছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফায় তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!