প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন পটিয়ার ইউএনও

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘পটিয়া ইউএনও কক্ষে ঘটা করে হুইপের ভাইয়ের জন্মদিন পালন’ শিরোনামে ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত সংবাদের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা।

ইমেইলে পাঠানো ওই ব্যাখ্যায় তিনি লিখেছেন, ‘কার্যত ওই দিন কারো জন্মদিন পালনের ঘটনা আমার উপস্থিতিতে ঘটেনি। গত ২ এপ্রিল সারাদিন আমি উপজেলার শান্তিরহাট বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় বাজার মনিটরিং ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত রাখার অভিযানে ছিলাম। সন্ধ্যার পর খরনা ইউনিয়নে ৭০টি পরিবারে মানবিক সহায়তা পৌঁছাই। বিতরণ কাজে সাময়িক বিরতি দিয়ে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অফিসে ফিরি। তখন অফিসের নিচতলায় হুইপ মহোদয়ের পক্ষে মানবিক সহায়তার কাজে নিয়োজিত উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা হয়। আমি অফিসে এসেই পরবর্তী মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমার দাপ্তরিক ব্যস্ততার ফাঁকে নিচে দেখা হওয়া স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা আমার অফিসে প্রবেশ করে বলেন, তারা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। আশেপাশে কোন হোটেল খোলা না থাকায় নিকটবর্তী দোকান থেকে তাদের সঙ্গে আনা খাবার ও কেক খেয়ে চলে যাবেন বলে তারা জানান।’

ওই ব্যাখ্যায় পটিয়ার ইউএনও লিখেছেন, ‘এর মাঝে আমার মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক ফোন আসে। এ সময় তারা নিজেদের আনা খাবার ও কেক কেটে খাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এরই মধ্যে আমি আমার কক্ষ ত্যাগ করে ছনহরা ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চলে যাই। আমি আমার কক্ষে থাকাকালীন সময়ে আমার সামনে জন্মদিন উদযাপনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফলে ঘটা করে উদযাপনের প্রশ্নই আসে না। এছাড়া কারও ব্যক্তিগত জন্মদিনের বিষয়েও আমি অবগত ছিলাম না, কিংবা কেউ আমাকে জানাননি। তাই ওইদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আমার উপস্থিতিতে কোন জন্মদিন পালন বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক কোন কেক কাটা হয়নি বা কাউকে খাইয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। এমনকি যখন আমি নিজের চেয়ারে বসা ছিলাম তখনও আমি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাছাড়া ছবিতে হুইপ মহোদয়ের ছোট ভাইকে কেক খাইয়ে দেওয়া ওই নারী আমি নই, সেটি অন্য কেউ।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm