দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে গত ২২ ডিসেম্বর ‘চান্দগাঁও পুলিশের ‘বন্ধু’ হাসান বেপরোয়া, চাঁদা চেয়ে প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনে হামলা-ভাঙচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মো. হাসান (২৫), সায়েম মুরাদ (৪০), বাচা মিয়া প্রকাশ বাচ্চু (৩০), ওসমান গনি মানিক (৪০), মো. রিপন (২৫), মো. হাসান (৩০), আরিফুল ইসলাম ইরাদ (৩৩), মো. কামাল (৪২), আদিত্য পাল (২২) ও আমির হোসেন প্রকাশ ম্যাক্সওয়েল (২৪)।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকায় চলছে একের পর এক চাঁদাবাজি। বাড়ি নির্মাণ করার কাজে হাত দিলেই চলে আসে চাঁদাবাজের দল। দাবি করে বসে লাখ লাখ টাকা৷ পুলিশকে অভিযোগ দিয়েও এসব ঘটনায় মিলছে না প্রতিকার, নিচ্ছে না মামলাও। মারধরের পাশাপাশি অস্ত্রের ব্যবহারও হচ্ছে চাঁদাবাজির ঘটনায়’—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রতিবাদে বলা হয়, মো. হাসান (২৫), সায়েম মুরাদ (৪০), বাচা মিয়া প্রকাশ বাচ্চু (৩০), ওসমান গনি মানিক (৪০), মো. রিপন (২৫), মো. হাসান (৩০), আরিফুল ইসলাম ইরাদ (৩৩), মো. কামাল (৪২), আদিত্য পাল (২২) ও আমির হোসেন প্রকাশ ম্যাক্সওয়েল (২৪) সবাই প্রকৃত ব্যবসায়ী। প্রকাশিত সংবাদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনো ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।
প্রকাশিত সংবাদে আরও বলা হয়, ‘নগরের চান্দগাঁও থানার ইয়াছিন হাজীর বাড়িতে নিজ মালিকানার ১০ শতক জায়গায় দোতলা ভবন নির্মাণ করেন প্রবাসী আবুল হোসেন। এসব কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় মামলার বাদি রেহানা বেগমের স্বামী নুরুল বশরকে।’—এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদে বলা হয়, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর জায়গার মালিক আবুল হোসেন বাদি হয়ে বাদিনীর স্বামী নুরুল বশরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৬৩২/২০২২। যা চলমান রয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ ছিল, ‘ওইদিনের ঘটনা দেখে নুরুল বশরের স্ত্রী ও তার ছেলে রাসেল ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও প্রাণনাশের হুমকি দেন হাসানসহ অন্যরা। পরে রাসেল জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাতেনাতে মামলার আসামি মো. হাসান, মো. রিপন ও মো. হাসানকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।’— এটি অসত্য ও ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদে বলা হয়, ওইদিন মো. হাসান, মো. রিপন ও মো. হাসানকে ধরে থানায় নিয়ে যায়নি পুলিশ।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে নুরুল বশর ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এ সময় ভবনের গেটে লাগানো সিসি ক্যামেরা, ডিপকল ও ওয়াসার পাইপ ভেঙে ফেলে। এ কাজে বাধা দিতে গেলে তাদের করা হয় মারধর। একপর্যায়ে রেহানা আক্তারের স্বামী নুরুল বশরকে ছুরি মেরে গুরুতর আহত করা হয় এবং তার পকেটে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় হাসান ও তার সঙ্গীরা। মারধরের সময় স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।’—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রকৃত ঘটনায় হলো, মো. হাসান একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী। তিনি দেশের সুনামধন্য মেঘনা গ্রুপের চট্টগ্রামের একজন সুপেয় পানীয় ফ্রেশের এজেন্ট। আর তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা কোনো একটা সাধারণ ডায়েরিও নাই।
প্রতিবাদে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি মামলার বাদি ওসমান গণি মানিক একজন সনামধন্য ব্যবসায়ী, সরকারি করদাতা, চট্টগ্রাম শহরে যার চারটি রিকন্ডিশন শোরুম রয়েছে এবং চট্টগ্রাম রিকন্ডিশন মোটরসাইকেল মালিক সমিতির সফল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বড় ভাই কামাল উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে এ ঘটনায় সিএমপির চান্দগাঁও থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন ২০/১২/২০২২ তারিখে।
এই মামলার আসামি বাদিনী রেহেনা বেগমের ছেলে রাসেল ও টিপুকে রক্ষা করতে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে প্রতিবাদে দাবি করা হয়।