দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ২৯ ডিসেম্বর ‘মোহনের কব্জায় অস্ত্র মাদকের রমরমা ব্যবসা, এক হাতেই সাবাড় ৪০ পাহাড়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামশুল আলম তালুকদার।
প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় গিয়েছিলাম। যখন ঘটনা ঘটে তখন আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে গাড়িতে ছিলাম। ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। অথচ আমাকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রতিবেদনটিতে বেশকিছু অসঙ্গতি ও তথ্যের গরমিল রয়েছে।’
প্রতিবাদপত্রে তিনি আরও বলেন, ‘মোহনের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে তার তেমন সম্পর্ক নেই। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু এসবের সাথে তো আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
প্রতিবাদপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি যেহেতু এলাকায় ছিলাম না, ঢাকায় ছিলাম। আমাকে এখানে জড়ানো অনুচিৎ মনে করি। আমার স্পষ্ট কথা, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। শুধু শুধু এ ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা মোটেই সমীচিন মনে করি না।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
সাংবাদিকতার নীতি অনুযায়ী প্রকাশিত প্রতিবেদনে শামশুল আলম তালুকদারের বক্তব্যও অবিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার কথা শামশুল আলম তালুকদার জানতেন বা ওই ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত। নিজস্ব অনুসন্ধানের পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বর্তমান ও সাবেক একাধিক জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সাংবাদিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিযোগই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের নিজস্ব কোনো বক্তব্য ছিল না।