পৌনে ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুই কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে

ঘুষ লেনদেন ও পরস্পর যোগসাজশে আমদানি করা পণ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাসের দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ও তিন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সোয়া পাঁচটার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপসহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ মামলা দুটি রেকর্ডভুক্ত করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম। তিনি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্দা থানার পূর্বশার ডুবি গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র। অপর আসামি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার খাউলিয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র। আসামির মধ্যে আরও রয়েছেন মেসার্স গ্যাবি ট্রেড ইন্টান্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী মো. কাশিফ ফোরকান (আমদানিকারক), এমআর করপোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. হারুন শাহ (আমদানিকারক) এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ থানার ঝিনজিরা গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র আবুল হাসনাত সোহাগ।

অভিযুক্তরা আমদানি করা পণ্য ঘুষ লেনদেন ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাস করে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৫ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর হোসাইন শরীফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কাস্টম হাউজের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তকালে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট সিএন্ডএফ এজেন্টদের ক্ষমতা অপব্যবহার, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পণ্য খালাসের অভিযোগে সাত কাস্টমস কর্মকর্তা ও ১৫ সিএন্ডএফ এজেন্টসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

আজাদ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!