৩০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবার শুঁটকি তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করার কাজ শিখে আসার জন্য। আর এই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই ৩০ জন বিদেশে গেলে শুঁটকির মান বেড়ে যাবে— এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
‘কক্সবাজার জেলায় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পের অধীনে এ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।
প্রকল্পের আওতায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকায় বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাড়াও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে আরও এক কোটি ২১ লাখ টাকা। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে প্রতিজনের জন্য ভাতা ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাগ, নোট প্যাড ও কলমের মতো প্রশিক্ষণ সামগ্রী বাবদ প্রতিজনের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। অন্যদিকে নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ প্রতিজনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তার মূল বেতন ধরা হয়েছে ৬৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা। তিনজন কর্মচারীর মূল বেতন ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা। একেকজনের মোবাইল ভাতা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা। এছাড়া মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা জনপ্রতি ২১ লাখ টাকা, পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িভাড়া ভাতা ধরা হয়েছে ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
শুঁটকি তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বিএফডিসির পছন্দ জাপান, আইসল্যান্ড, জার্মানি ও ফ্রান্স। কক্সবাজারের ওই প্রকেল্পে ৩৫০টি গ্রিনহাউস মেকানিক্যাল ড্রায়ার এবং ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার নির্মাণ করা হবে। এসব পরিচালনার জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে— এমনই মত বিএফডিসির।
প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে আড়াই হাজার বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড, ১ হাজার ৮৬০ বর্গমিটার আয়তনের চারতলা ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি নির্মিত হবে। ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন চার চেম্বার বিশিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ, প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি ও ৩৬টি শুঁটকি বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নির্মিত হবে ১০টি টয়লেট, তরল বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি, ইনচার্জ অব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট।
সিপি