পোর্ট কানেকটিং সড়কে অবৈধ স্থাপনা সরাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম চসিক প্রশাসক সুজনের

চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা মোড় হতে নয়াবাজার পর্যন্ত সব অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের দোকানপাট ও সড়কে মজুদ করা মালামাল ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে পোর্ট কানেকর্টিং সড়ক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।

এসময় তিনি বলেন, চসিক প্রশাসক হওয়ার পুর্ব থেকে এই রাস্তার হালচিত্র আমাকে ব্যথিত করতো। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর পোর্ট কানেকটিং সড়ক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছি। পুরো নগরীর মধ্যে এই সড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ। অথচ কী অদৃশ্য কারণে এতদিন যাবদ এই কাজ সম্পন্ন হলো না, জানিনা।

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরও বলেন, আমি রাতদিন এই রাস্তায় থাকবো। আমি দেখতে চাই এখানে বাঁধা কোথায়? যেখানে বাঁধা-সেখানেই লড়াই। আমি ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি। রাস্তা-ই আমার রাজনীতি, আমি রাস্তাতেই থাকবো এবং সমাধান আনবো।

রাস্তার দুইপাশের যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে চসিকের ড্রেন দখল করে চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আমি আপনাদের একজন হয়ে বলে গেলাম। নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করেন, নয়তো আগামীকাল আমাকে দেখবেন প্রশাসকের ভূমিকায়। এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘন্টা পর জরিমানা গুনতে হবে।

পোর্ট কানেকটিং সড়ক পরিদর্শন করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন
পোর্ট কানেকটিং সড়ক পরিদর্শন করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। চসিক প্রশাসক পায়ে হেঁটে দীর্ঘপথ পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারিদের সাথে তাদের সমসাময়িক দূর্ভোগ ও সমস্যার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। পোর্ট কানেকর্টিং সড়কের কোথায় কি পদক্ষেপ নিলে বা কি ধরনের কাজ করলে ভালো হয় সে বিষয়েও অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নেন।

এসময় তিনি স্থানীয়দের জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা আর সহ্য করা হবে না। এখন শুধু কাজ আর কাজ। এই দুর্ভোগ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

উপস্থিত শত শত এলাকাবাসী জড়ো হয়ে প্রশাসক সুজনের প্রশংসনীয় পদক্ষেপের জন্য সাধুবাদ জানান।

এলাকাবাসীকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সড়ক উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিকাদার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারী ও মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সড়ক উন্নয়নকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে এলাকাবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন নতুন প্রশাসক যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, সিরাজদৌল্লা নিপু, মো. বাবুল, আতিকুর রহমান, ফেরদৌস আলমগীর প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন।

আদর/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!