পোর্ট কলোনির সেই একতা পাড়ার বিদ্যুৎবাণিজ্য বন্ধ, তদন্তে রেলের কমিটি

চট্টগ্রাম নগরের বন্দর পোর্ট কলোনি এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠা বস্তিতে অবৈধভাবে নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দানের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর পোর্ট কলোনির ‘একতা পাড়া’ বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগের মিটার দিয়েছে আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র ডিভিশন। আগ্রাবাদ ডিভিশন থেকে দুটি প্রি-পেইড মিটার নিয়ে এই বিদ্যুৎ বাণিজ্য করেছে স্থানীয় কথিত যুবলীগ নেতা উত্তম কুমার দত্ত। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তার নামে দুটি মিটার নেওয়া হয়।

রেলওয়ের জায়গা দখল করে একটি সিণ্ডিকেট ‘একতা পাড়া‘ বস্তি বানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেটটি রেলওয়ের জায়গা দখল করে তার ‘দখলস্বত্ত্ব’ বিক্রি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে।

তবে রেলওয়ের এফএসবিএ গ্রেড-২ এর কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিদ্যুতের ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত উত্তম কুমার দত্ত। মূলত তার নামেই আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ ডিভিশন থেকে দুটি মিটার সংযোগ নিয়ে এ ব্যবসা করা হয়েছে।’

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয় স্বীকার করে কথিত যুবলীগ নেতা উত্তম কুমার দত্ত বলেন, ‘ভাই আমি গরিব মানুষ, ব্যবসা করে খাচ্ছি। কী করবো। আমি বেড়াতে আসছি। আপনার সঙ্গে পরে যোগাযোগ করব।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী শাকের আহমেদ বলেন, ‘পোর্ট কলোনি অবৈধ বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নেওয়া হবে বলে জানান।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার পোর্ট কলোনি এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিশাল বস্তি নাম তার একতা পাড়া। রেলওয়ের প্রায় ৩ একরের জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে তৈরি করা হয়েছে ৫ শতাধিক কাঁচা বসতঘর। বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে রেলের বিদ্যুতের লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগও দেওয়া হয়েছে সেখানে। কেবল এই বিদ্যুৎ থেকেই মাসে বাণিজ্য হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগ।

এএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!