পর্যটক সেজে পিকনিকের নামে তারা টেকনাফে যায়, আর সেখান থেকে ফিরে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে। পরে বিশেষ কৌশলে পেটের ভেতর থেকে সেই ইয়াবা বের বিক্রি করা হয় বাইরে।
অনেকদিন ধরে এভাবে চলে এলেও সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে এবার ৯ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের পেটের ভেতর থেকে প্রায় ২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহের মিনহাজুল ইসলাম রিফাত (২২), সেলিম (২২) ও গাজীপুরের সিয়াম ইসলাম (১৯) এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ময়মনসিংহের রিশাত পাঠান (২২), মো. গোলাপ (২২) ও নেত্রকোনার মিতুল হাসান মাহফুজ (২২) ডিগ্রি পরীক্ষার্থী। কিশোরগঞ্জের আশিকুল ইসলাম (১৯) সদ্য এইচএসসি পাশ করেছে। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের তোফায়েল আহমেদ (১৯) পড়ছে একাদশ প্রথম বর্ষে। আর পটুয়াখালীর মো. সোহেল (২১) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসির ছাত্র।
র্যাব জানায়, ঢাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের প্রথমে মাদকাসক্ত করে তাদের নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে ঢাকা থেকে তাদের ভ্রমণের নামে যাত্রীবাহী বাসে করে টেকনাফে পাঠায়। সেখানে সিন্ডিকেটের সদস্যরা এই ৯ শিক্ষার্থীর পেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফের ঢাকার উদ্দেশে বাসে তুলে দেয়।
ইয়াবা নিয়ে এমন তৎপরতার খবর পেয়ে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আমতলী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় র্যাব-১১ এর সদস্যরা। এ সময় একটি বাসে তল্লাশি করে ৯ জনকে আটক করা হয়।
পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করার পর প্রত্যেকের পেটে ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ সময় বিশেষ পদ্ধতিতে পেটের ভেতর থেকে ২৩ হাজার ৯৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এর আগেও ইয়াবার বেশ কয়েকটি চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়েছে তারা। অর্থের প্রলোভন ও মাদকের নেশায় শিক্ষার্থীরা এ পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সিপি