ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট সামুদ্রিক অতিরিক্ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কার করালেন মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম। এতে ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ নিশ্চিত প্লাবন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এতে রক্ষা পেয়েছে প্রায় ৭০০ একর লবণের মাঠ ও চিংড়িঘের।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৪ মে) দুপুরে জোয়ারের পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এতে ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায় ৩০০ মিটারের বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে অবগত করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু বলেন, জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে পড়ার খবর পেয়েই ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে শ্রমিক ও মাটি কাটার যন্ত্র এনে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের উপর রিং বাঁধ দেন। তাই লোকালয়ে আর জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারেনি। নয়তো ইউনিয়নের শরতঘোনা, বাজার পাড়া, বহদ্দার পাড়া ও ফুলতলা গ্রামের পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ ও তাদের ঘরবাড়ি সাগরের পানিতে তলিয়ে যেত।
এব্যাপারে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, মগনামা ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা ও অবহেলায় বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে মগনামার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করলে আমি দ্রুত এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিই। এতে এ জোয়ার ঠেকানো গেলেও বর্ষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে মগনামার মানুষ। তাই বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশসমূহ সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।