আরমান চৌধুরী পেশায় গাড়ি চালক। কিন্তু তার কোমরে গুঁজে থাকে ওয়্যারলেস সেট ও হ্যান্ডকাফ। একটি প্রাইভেট কার চালিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি হালিশহরে। পরিচয় দিতেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের হালিশহর থানার এসআই। অপকর্ম চালাতেন এলাকাজুড়ে। আর সেই ভুয়া পুলিশই এবার ধরা খেলো হালিশহর থানার পুলিশের অভিযানে।
হালিশহর এলাকায় ৬ ডিসেম্বর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, আরমান নামে এক যুবক স্পটে এসে নিজেকে হালিশহর থানার এসআই পরিচয় দিয়েই চড়াও হয়। এরপর প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত না থাকলে জানে মেরে ফেলাসহ গ্রেপ্তারের ভয় দেখান কথিত পুলিশ আরমান।
এ সময় আরমানের আচরণে সন্দেহ হলে সাংবাদিক ইব্রাহিম জুলহাজ নীল তাকে চ্যালেঞ্জ করে হালিশহর থানার যেতে বলেন। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আরমান তার ব্যবহৃত সিলভার কালারের চট্টমেট্টো-খ-১১-১৯৮০ নম্বরের প্রাইভেট কারটি চালিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ইব্রাহিম নীল হালিশহর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের অভিযানেই গ্রেপ্তার হন ভুয়া এসআই আরমান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হালিশহর আবাসিকের ৩ নম্বর সড়কের ২ নম্বর লেনের ২০/২২ নম্বর বাসা থেকে আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান, আরমানের বাবার নাম জসিম উদ্দিন।
গ্রেপ্তারের পর আরমান পুলিশের কাছে অকপটেই দায় স্বীকার করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
আরমান পুলিশকে জানান, তিনি হালিশহরে বৌ বাজার এলাকার সুমন নামের এক ঠিকাদারের গাড়িচালক।
হালিশহর থানার ওসি জহির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। এছাড়া ওই চক্রের সঙ্গে জড়িতদেরও সনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।’
জেএস