চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে বসতঘরে হামলা করে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় পরিবারের নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানিসহ আইনের আশ্রয় নিলে ‘জানে মেরে ফেলার’ হুমকি দেয় তারা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ১০ হাইলধর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ইছাখালী সেন বাড়ির খোকন সেনের বসতবাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খোকন সেন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো, একই এলাকার লিটন সেন (৩৮), সঞ্জয় সেন (৪২), রূপেশ সেন (২৮), রাসেল সেন (৩২), রাহুল সেন (২৮)। হাইলধর গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৪৩), কেনু (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা হাইলধর ইউনিয়নের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের এনে ভুক্তভোগীর বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় তারা পুলিশ পরিচয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজার খোলার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে এবং নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানি করে তাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থসহ ঘরের প্রয়োজনীয় মালামাল লুটপাট করে। একপর্যায়ে তারা পুরো বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগীর ভাই রুপেন সেন জানান, ‘পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। পরবর্তীতে তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে ছেড়ে দেয়। ঘটনার দিন আমাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। পরে তারা আমার পরিবারের উপর হামলা করে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই এই বিষয়ে আমরা প্রশাসন এবং ভূমিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত লিটন সেন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সকালেই বিষয়টি শুনেছি আমি। কোন স্বার্থের জন্য তারা আমাকে জড়াচ্ছে আমি সেটাও বুঝতেছি না ‘
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএফও/এমএহক